সিবিএন ডেস্ক:
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, সরকার কোনও চ্যানেল বন্ধ করেনি। করতেও বলেনি। সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্লিন ফিডে চ্যানেল সম্প্রচারিত হয়। বাংলাদেশেও এটি করতে হবে। এটি আইন। আমরা সেই আইন কার্যকর করেছি মাত্র। কাজেই এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। এ নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াবে, সরকারকে বিব্রত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোমবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তথ্য সচিব মকবুল হোসেন, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মোজাম্মেল বাবু, কাজী জাহিদুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সব ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমকে শতভাগ ডিজিটালাইজ হয়ে সম্প্রচার করতে হবে।’
আইপি টিভি সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শতশত আইপি টিভির প্রয়োজন নেই। ব্যাঙের ছাতার মতো এদের কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেওয়া হবে না। আইপি টিভিকে অবশ্যই সরকারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সম্প্রচার করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার রেজিস্ট্রেশন নীতিমালা তৈরি করছে।’
হাছান মাহমুদ ক্যাবল ওপারেটরদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘বিশ্বের ২৪টি টিভি চ্যানেল ক্লিন ফিড অনুষ্ঠান চালাচ্ছে। এগুলো সম্প্রচারে কোনও বাধা নেই। এ নিয়ে কোনও প্রকার বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। সবার স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে সরকারকে সহযোগিতা করুন।’
তিনি বলেন, ‘যদি ক্লিন ফিডমুক্ত অনুষ্ঠানগুলো না চালান, তবে আপনাদের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হবে। লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ক্যাবেল অপারেটরের জন্য শতশত আবেদন জমা আছে মন্ত্রণালয়ে, আমরা সেগুলো বিবেচনা করবো।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।